Saturday, 28 June, 2025
Logo

খুনী হাসিনা পিলখানা হত্যাকান্ডের মাস্টারমাইন্ড : জাতীয় শহীদ সেনা দিবসে ডা. ইরান

প্রেস বিজ্ঞপ্তি

Published: / Times Read


ছবি - সংগৃহীত

খুনী হাসিনা পিলখানা হত্যাকাণ্ডের মাস্টারমাইন্ড মন্তব্য করে বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডাঃ মোস্তাফিজুর রহমান ইরান বলেছেন, আওয়ামী লীগের বেশ কিছু নেতা এই ঘটনায় সহযোগিতা করেছেন। সেনাবাহিনীর অনেক কর্মকর্তার ভূমিকা ছিল রহস্যজনক। এই পরিকল্পনায় যুক্ত ছিল দেশের কিছু বিশ্বাসঘাতক এবং  গুজরাটের কশাই মোদির ভারত।

লেবার পার্টি ও ছাত্রমিশন ২০১০ সাল থেকে ২৫ ফেব্রুয়ারী পিলখানায় হত্যাকাণ্ড দিনটিকে জাতীয় শহীদ সেনা দিবস ও সরকারী ছুটি ঘোষণার দাবী জানিয়ে আসছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ২৫ ফেব্রুয়ারী জাতীয় শহীদ  সেনা দিবস ঘোষনা করায় আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি।

ডা. ইরান বলেন, পিলখানা হত্যাকাণ্ডের রেশ ধরেই ৫ মে শাপলা চত্বরের গণহত্যা, ভোটারবিহীন নির্বাচন, শিক্ষাব্যবস্থা ও বিচারব্যবস্থা ধ্বংস, দুর্নীতির মহোৎসব, গুম-খুনের অবাধ রাজত্ব। এ ঘটনায় অনেকে চাকরি হারান, অনেকে পদোন্নতি বঞ্চিত হন। সঠিক তদন্তের মাধ্যমে এই হত্যাযজ্ঞের বিচার না হলে এবং দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় না আনা হলে ছাত্র আন্দোলনের মাধ্যমে পাওয়া নতুন স্বাধীনতা মুখ থুবড়ে পড়বে। শত্রু সব জায়গায় বিরাজমান। একেকদিন একেক বেশে আসবে।

তিনি আজ (মঙ্গলবার) বিকাল ৩ টায় নয়াপল্টন দলীয় কার্যালয়ে বাংলাদেশ লেবার পার্টি ঢাকা মহানগর আয়োজিত জাতীয় শহীদ সেনা দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন।

মানবাধিকার সংরক্ষণ সংস্থার চেয়ারম্যান এডভোকেট জহুরা খাতুন জুঁই বলেন, পিলখানায় যা ঘটেছিল তা নির্মম হত্যাযজ্ঞ। সেই ঘটনা ১৯৭১ সালের পাকিস্তানি হানাদার বাহিন ীর নির্যাতনকেও হার মানিয়েছে। ২০০০ সালের দিকে কুড়িগ্রাম সীমান্তে বড়ইবাড়িতে বিএসএফ ও তৎকালীন বিডিআর এর সঙ্গে তুমুল সংঘর্ষ হয়েছিলো। সেটা ছিলো বিএসএফের পরিকল্পিত ঘটনা। সে সময় প্রতিবেশী রাষ্ট্র অনেক হুমকি দিয়েছে। তারা পিলখানা উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়েছিলো। ওই যে বিএসএফ পরাজিত হয়েছে তার কারণে বিএসএফ ক্ষুব্ধ ছিলো। তারই ধারাবাহিকতায় পিলখানা হত্যকাণ্ড ঘটতে পারে। এটা আমার ব্যক্তিগত মূল্যায়ন।

মহানগর সদস্য সচিব মোঃ জাহিদুর ইসলামের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন লেবার পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান হিন্দুরত্ম রামকৃষ্ণ সাহা, ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব খন্দকার মিরাজুল ইসলাম, যুগ্ম-মহাসচিব মো: হেলাল উদ্দিন চৌধুরী, মুফতি তরিকুল ইসলাম সাদী, মহিলা সম্পাদিকা নাসিমা নাজনিন সরকার, দফতর সম্পাদক মোঃ মিরাজ খান, মহানগর নেতা তারেক  আজিজ, ছাত্রমিশন সভাপতি সৈয়দ মোঃ মিলন, সাধারণ সম্পাদক মোঃ নাজমুল ইসলাম মামুন ও মহানগর লেবার পার্টির নেতা এনামুল হক প্রমুখ। 

Share

More News


Most Read